রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের আগস্ট মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে ভোক্তাসাধারণের উদ্বিগ্ন হইবার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান। সোমবার সমকাল যেমন জানাইয়াছে, গত মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছিয়াছে, যাহা জুলাই মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭৬ এবং জুনে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বিষয়টা উদ্বেগজনক, কারণ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও আগস্টে সারাবিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন থাকার তথ্য দিলেও, বাংলাদেশে উহা রীতিমতো লম্ফ দিয়া গত এক যুগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত। নীতিনির্ধারকরা কথায় কথায় মূল্যস্ফীতির জন্য বিশ্ববাজারের দোহাই পাড়েন, কিন্তু বাস্তবতা যে সম্পূর্ণ ভিন্ন– এই ঘটনায় উহা পুনরায় স্পষ্ট হইল। বাজার বিশ্লেষকদের কথার প্রতিধ্বনি করিয়া আমরা বারংবার বলিয়াছি, মূলত অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় সময়োচিত পদক্ষেপের ঘাটতি, সিন্ডিকেশনসহ অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতাই এ সংকটের মূল কারণ। অবিলম্বে এই সকল ক্ষেত্রে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গৃহীত না হইলে আগামী দিনগুলিতে মূল্যস্ফীতিজনিত জনদুর্ভোগ আরও বাড়িবে।
অধিকতর উদ্বেগের বিষয়, গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আরও বেশি– ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। দেশের সিংহভাগ মানুষের বসবাস যেথায়, তথায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির এহেন হানা প্রমাণ করে, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা তৃণমূল অবধি বিস্তৃত, যাহার থাবা হইতে উৎপাদক শ্রেণিও মুক্ত নহে।