রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের ১৮ মাস পার হওয়ার পর তিনমুখী প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে ইউক্রেন। রুশ বাহিনীকে নিজেদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করতে পাল্টা আক্রমণে ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগোচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের বিমানবাহিনীর শক্তি, গোলাবারুদ ও উন্নত প্রশিক্ষিত সেনার ঘাটতি রয়েছে। এসব কারণে রাশিয়ার দখলে থাকা পূর্ব ও দক্ষিণের ভূখণ্ডে সেনা পাঠাতে পারছে না তারা। পশ্চিমারা ইউক্রেনে অস্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং শেষ পর্যন্ত তারা একটি যুদ্ধবিরতির আলোচনা চায়। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি চুক্তির জন্য প্রস্তুত হলেও অতীতে তিনি চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন এবং কিয়েভকে মস্কোর অধীনে করার অভিযান পুনরায় শুরু করেছেন। চলমান এই সামরিক ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে, যতক্ষণ না এই তিনটি পরিস্থিতির মধ্যে অন্তত একটির পরিবর্তন না হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
ইউক্রেনীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই অচলাবস্থা রাশিয়ার পক্ষে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহযোগিতায় যদি পশ্চিমে রাজনৈতিক অবসাদ দেখা দেয়। ইউক্রেনের এক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন বলেছেন, পরিস্থিতি ধরে রাখা সম্ভবপর নয়।