বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী রানী মুখার্জি। নব্বইয়ের দশক থেকে চুটিয়ে কাজ করছেন হিন্দি সিনেমায়। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, তার প্রমাণ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুম’, ‘ব্ল্যাক’ ও ‘মারদানি’র মতো সিনেমার মাধ্যমে। রোমান্টিক-কমেডি হোক বা অ্যাকশন-ক্রাইম ঘরানার ছবি, সবকিছুতেই সাবলীল রানী।
বলিউডে আপনার ২৭ বছর হয়ে গেল। কী মনে হয় …
আমার পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো– শেখা থামালে চলবে না। বিবাহিত ও এক সন্তানের মা হয়ে যাওয়া নায়িকাকে এখনও সহজে মেনে নেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে এত বছর পরেও যে আমি সিনেমা করতে পারছি, তার জন্য দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ। ভক্তদের থেকেও যে অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি তার তুলনা নেই! যখন কাজ করিনি তখনও পেয়েছি। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে যেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার খুব বেশি উপস্থিতি নেই, তা সত্ত্বেও তারা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সত্যিই আমি অভিভূত।
বলিউডের রানীর মুকুট কতটা উপভোগ করেন?
এই মুকুট দর্শকের দেওয়া। দর্শক আমাকে ভালোবাসে। ভালো কাজ করলে ‘শাবাশ’ বলে। তাদের বাড়ির মেয়ে মনে করে। এত ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান বলেই মনে হয়। এখনও নতুন ধরনের কাজের প্রেরণা ভক্তদের কাছ থেকে পাই। তাই তাদের জন্য আগামীতেও ভালো কাজ করে যেতে চাই। আই ওয়ান্ট টু মেক দেম প্রাউড! আমি চাই, ঈশ্বর আমাকে আশীর্বাদ করুন, যাতে আমি অনুরাগীদের আস্থা জিইয়ে রাখতে পারি।
অভিনয় জীবনের খারাপ দিক কোনটা?
এর উত্তর দেওয়া কঠিন। একজন অভিনয়শিল্পী যখন সাফল্য পান, খ্যাতি পান, তখন কিছু দাম তাঁকে দিতেই হয়। এভরিথিং কামস উইদ আ প্রাইস। খ্যাতির শিখরে বসে সব নিজে বেছে নিতে পারব, এমনটা হয় না। আমরা চাই আমাদের নিয়ে কথা হোক। তাই আমরা মানে অভিনয়শিল্পীরা কতটা এক্সপোজ করবে, কীভাবে ব্যক্তিগত জীবন বাঁচাবে, কীভাবে ব্যালান্স করবে– এটা আমাদেরই খুঁজে নিতে হবে। আমি নিজে সেই ব্যালান্সটা করতে পেরেছি বলেই মনে করি। আমার কোনো কমপ্লেইন নেই।