খুব সম্ভবত আমরা কোনো দিনই জানতে পারব না, ভাড়াটে যোদ্ধাদের বাহিনী ভাগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোশিন আসলেই কেন ও কী কারণে নিহত হয়েছেন। সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আদেশেই প্রিগোশিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রিগোশিনের শত্রুপক্ষ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাত ছিল এবং প্রিগোশিনের এই দায়মুক্তিপ্রাপ্ত খুনের ঘটনায় সম্ভবত তারাই সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগ পশ্চিমা ভাষ্য প্রিগোশিনের বিষয়ে পুতিনের ভয়, রুশ অভিজাত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং রুশ শাসনব্যবস্থার ভঙ্গুর দিকের ওপর আলোকপাত করেছে।
এসব বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া যে ভুল কিছু, তা মোটেও নয়। কিন্তু এর বাইরে প্রিগোশিনের এই অপঘাতে মৃত্যু রাশিয়ার শাসক গোষ্ঠীর ভেতরে, রুশ সমাজে, সেখানকার মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলবে এবং রাশিয়ায় কী নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করবে, সেসব তাদের মতামতে বাদ পড়ে গেছে।