প্রি-এক্লাম্পসিয়া ও মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিসের মতো জটিলতার কারণে গর্ভাবস্থায় হঠাৎ দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। এ সময় চোখের সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় নারীর শরীরে বেশ কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর মধ্যে প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে চোখের কর্নিয়ায় ফ্লুইড শিফট হতে পারে অর্থাৎ কর্নিয়ার পেছনে থাকা তরল বেরিয়ে যেতে পারে। এই ফ্লুইড শিফটের কারণেই চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হয়। এটা পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে চোখের পানি তৈরি কমে গেলে চোখে অস্বস্তি হয়। চোখ শুকিয়ে যায়, খসখস করে। প্রসবের শেষের দিকে হরমোনের তারতম্যের কারণে শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত তরল জমে কর্নিয়া পুরু হয়ে যায়। এতেও ঝাপসা দেখা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পিটুইটারি গ্রন্থির আকার বৃদ্ধি পায়। কারও পিটুইটারি গ্রন্থিতে সমস্যা থাকলে এটি আরও বড় হয়ে অপটিক কায়জমাতে চাপ দেয়। ফলে দৃষ্টির সীমা পরিবর্তিত হয়, দৃষ্টি ঝাপসা, মাথাব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।