এক কেজি চাল দিন আর এক ব্যাগ প্লাটিলেট

সমকাল ফারুক ওয়াসিফ প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৫

প্রাণের স্বজনরা আবার ছবি হয়ে যাচ্ছে। কারও শিশুপুত্র-কন্যা, কারও স্ত্রী, কারও ভাইবোন ডেঙ্গুতে ভুগে ‘নাই’ হয়ে যাচ্ছে! মৃত্যুভয় বড় ভয়। সেই ভয় আবার আনাগোনা করছে বিভিন্ন জনপদে। কিন্তু কে আছে? কী আছে? হাসপাতালে বেড নেই, প্লাটিলেট নেই। পেলেও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। যে পারছে সে যথেষ্ট খরচ করে চিকিৎসা করাচ্ছে। যে পারছে না, সে খোদার কাছে বিচার দিয়ে নেতিয়ে পড়ছে চিরতরে।


কিংবা অর্থ থাকলেও কি বাঁচানো যাচ্ছে সবাইকে? ডেঙ্গু জ্বর এখন জাতীয় দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশ পরিচালনা দেখে মনে হয় না– মানুষ বিপদে আছে, ভয়ে আছে। করোনা মহামারির সময় সরকার যতটা তৎপর ছিল; ধনীরা যতটা দানবীর হতে চাইতেন; মধ্যবিত্তরা যতটা দরদি ও সহযোগী ছিলেন; ডেঙ্গু মোকাবিলায় তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে কি? চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি ব্ল্যাক ডেথ নামক প্লেগে ইউরোপের অর্ধেক সংখ্যক মানুষ মারা যায়। মহামারি শেষ হলে দেখা যায়, মানুষ তখন সব ভুলে যেতে চায়। মানুষ অনেক বস্তুবাদী আর ভোগবাদী হয়ে পড়েছিল; স্বার্থপর হয়ে পড়েছিল। আমাদের দেশেও কি কভিড-পরের কালে সেটাই ঘটছে?


বিচক্ষণ মানুষেরা সুসময়কে ক্ষণস্থায়ী ভাবেন; আর আমার বা আমাদের মতো বোকা মানুষেরা ভাবেন, খারাপ সময়টা কেটে যাবে। কিন্তু কাটছে কই? করোনার দুই বছরের পর লাগাতার হানা দিচ্ছে ডেঙ্গু। বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটছে এখন অনেকের ঘরে। বিপদের সেরের ওপর সোয়া সের হয়ে এসেছে ডেঙ্গু জ্বর। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। ২০২৩ সাল পেরোয়নি; এই আট মাসেই ২০২২ সালকে ছাপিয়ে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড গড়েছি আমরা। এদিকে মশা মারার ওষুধে ভেজাল। নগর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাদের বেশি কিছু করার নেই। কিছু করতে হলে তাদের নাকি আরও টাকা চাই। জি, টাকা ছাড়া কথা হয়ও না; হবেও না এই দেশে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us