ঋণখেলাপিতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ঘাটতি হলেও ১৭ ব্যাংককে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ সুবিধা দিয়ে টিকিয়ে রাখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোকে বিপৎকালীন প্রভিশন ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যে ডেফারেল (বকেয়া) সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যাংকভেদে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে এক থেকে নয় বছর পর্যন্ত। এ বকেয়া প্রভিশন সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী কিস্তিতে পরিশোধ করবে ব্যাংকগুলো।
বিশেষ এ সুবিধা পাওয়ার শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল, জনতা, এবি ও রূপালী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, ধারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি দিয়ে ব্যাংকগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করা হলেও এটা গ্রাহকের মধ্যে ভীতি ছড়াতে পারে।
ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের মানভেদে শূন্য দশমিক ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যেসব ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারে না, তাদের ব্যাংকের মূলধন থেকে সেই ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। ফলে ব্যাংকের মূলধন কমে যায়। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি থাকলে সেই ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারে না। এই দুই সমস্যা সমাধানে ডেফারেল নামক বিপৎকালীন সুবিধা পায় ব্যাংক। এতে কাগজে-কলমে সমাধান হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাংকের সমস্যা থেকেই যায়।