রাজনৈতিক উথালপাথালের মধ্যে থাইল্যান্ড নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল। বহুলাংশে পূর্বনির্ধারিত ছকে জাতীয় ঐক্যের নামে পুরোনো প্রতিপক্ষরা প্রাথমিকভাবে একজোট হয়েছে এবং নতুনভাবে উঠে আসা প্রগতিশীল শক্তিকে বিরোধী দলে ঠেলে দিয়েছে। ঐতিহাসিক এই পুনর্যাত্রার দিনে নাটকীয়ভাবে থাইল্যান্ডে ফিরে এসেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তিনি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। এক দশকের কারাবাস এড়াতে তিনি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছিলেন এবং ১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন। দেশে ফেরার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে, ৭৪ বছর বয়স্ক সাবেক টেলিকম টাইকুন থাকসিন কথিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে সদয় আচরণ পাবেন। একই সঙ্গে রাজতন্ত্র সুরক্ষার যে গোপন চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে, তার আওতায় রাজকীয় ক্ষমাও পেতে পারেন তিনি। এই অবস্থায় থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে থাকসিন সিনাওয়াত্রার ফিউ পার্টির স্রেথা থাভিসিন জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তার নিয়োগ দেওয়া সিনেটররা সাবেক এই রিয়েল এস্টেট টাইকুনকে বেছে নেন। যদিও তাঁর কোম্পানির নামে ভূমি চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতিসহ কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে, যা তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের পথে শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারত।