এ সময় পানিবাহিত ৫ রোগে হতে পারে মৃত্যুও, সতর্ক থাকবেন কীভাবে?

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৩, ২০:১৮

বর্ষায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ সময় টাইফয়েড ও হেপাটাইটিসের মতো রোগের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তাই যথেষ্ট সতর্ক না থাকলে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ মৃত্যুর কারণ হতে পারে।


এ বিষয়ে ভারতের গুয়াহাটির হেলথ সিটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড মেডিকেল ডিরেক্টর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক (ড.) ভবানী প্রসাদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন বর্ষায় কোন ৫টি পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে, একই সঙ্গে এসবের প্রতিরোধের কৌশলও জানিয়েছেন তিনি।


পানিবাহিত রোগের কারণ কী?


পানিবাহিত রোগের উৎপত্তি ঘটে অপরিষ্কার পানীয় বা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। দূষিত পানি শরীরে প্রবেশ করতেই তা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই এ সময় খাবার ও পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক থাকা জরুরি।


বর্ষায় কোন কোন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে?


টাইফয়েড


টাইফয়েড দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। দুর্বল স্যানিটেশনের কারণে এ রোগ বেশি ছড়ায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- উচ্চ জ্বর, দুর্বলতা ও পেটে ব্যথা। প্রথমদিকে এসব উপসর্গ তেমন গুরুতর না হলেও পরবর্তী সময়ে এসব লক্ষণ রোগীর মৃত্যুর কারণও হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে টাইফয়েড মারাত্মক হতে পারে।


কলেরা


কলেরা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক রোগ। যা দূষিত খাবার ও পানির কারণে ঘটে। কলেরার লক্ষণ হিসেবে ডায়রিয়া, বমি ও পেটে ব্যথার মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দিতে পারে।


অ্যামিবিক আমাশয়


রোগটি দূষিত খাবার, পানি বা মলের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি অন্ত্রকে প্রভাবিত করে, ফলে তীব্র পেটে খিঁচুনি, রক্ত ও শ্লেষ্মাসহ ডায়রিয়া এমনকি জ্বরেরও কারণ হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি ও জটিলতা প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবেই এর চিকিৎসা নিন, না হলে গুরুতর অবস্থা হতে পারে রোগীর।


হেপাটাইটিস এ


এই ভাইরাল সংক্রমণ দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাময়িকভাবে লিভারকে সংক্রমিত করে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- জন্ডিস (ত্বক ও চোখ হলুদ হওয়া), ক্লান্তি ও পেটে ব্যথা। যদি লক্ষণগুলো কয়েকদিন একটানা অনুভব করেন তাহলে দ্রুত চিকিত্সা সহায়তা নিতে হবে।


শিগেলোসিস


শিগেলোসিস একটি রোগ যা দূষিত পানি, খাদ্য বা মল দ্বারা ছড়ায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা ও মলের সঙ্গে রক্ত পড়া ইত্যাদি। শিশুদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। যদি এই রোগ সংশ্লিষ্ট কোনো লক্ষণ টের পান তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us