দুধ ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে বড় উৎস। হাড় ও দাঁত মজবুত রাখার মূল উপাদান হল এই ক্যালসিয়াম। এ ছাড়াও পেশি সচল রাখা, স্নায়ুতন্ত্রকে কার্যকর রাখতেও ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। সব মিলিয়ে দুধের গুণাগুণ অনেক। এ কারণে ছোট-বড় সবাইকে ক্যালসিয়াম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খেতে হবে বিশেষ কিছু খাবার। এমন অনেক খাবার আছে যাতে ক্যালসিয়াম ভরপুর মাত্রায় থাকে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব মেটাতে শিশু থেকে বয়স্ক সবাই খেতে পারেন এই সব খাবার। যেমন-
পনির : পনিরে ভরপুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, জিঙ্ক, ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। পনির খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। দাঁত এবং হাড়ের গঠন মজবুত হয়। তা ছাড়া, এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে এই দুগ্ধজাত খাবারটি।
কাঠবাদাম: সকালে উঠে খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। প্রতিদিন এক মুঠো কাঠবাদাম খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। কাঠবাদাম খেলে হাড় মজবুত থাকে, পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
দই : দই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। প্রতিদিন দই খেলে শরীরে দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়, হাড় মজবুত থাকে এবং ভালো হজমেও সাহায্য করে।
সয়া দুধ: ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সয়া দুধ দারুণ বিকল্প। এতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন এবং ফাইবার। সয়া দুধ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ায়। যাদের ল্যাকটোজ-ইনটলারেন্স আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী এই দুধ।
সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি: কালে, পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজি পুষ্টির পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকে। এই ধরনের শাকসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটায়, হাড় ও পেশি মজবুত রাখে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সবুজ শাকসবজি যোগ করুন।