প্রায়শই আমাদের দুপুরের খাবার আমরা সময়মতো খেতে পারি না। দুপুরে সময়মত না খাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কর্মব্যস্ত জীবনের তাড়াহুড়োয় আমাদের প্রতিদিনের খাবারের রুটিন হয়ে যায় এলোমেলো। আমরা সঠিক পুষ্টি গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার মতো নিয়ম মেনে চলতে পারি না।
নিয়মিতভাবে দুপুরে দেরিতে খাওয়ার প্রভাব আমাদের পাকস্থলীতে পড়ে। এতে পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং বদহজম হয়। এছাড়া মাথাব্যথা ও গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে নিচের ৩টি সহজ পরামর্শ মানতে হবে।
১. কাজের চাপে দুপুরে খাবারের সুযোগ না হলে এক গ্লাস পানি খান। পানি শুধু অ্যাসিডিটির সমস্যাই কমায় না, গ্যাস্টোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজের লক্ষণও কমায়। গ্যাস্টোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বলতে টক ঢেকুর, বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যাকে বোঝায়। তবে পানি একবারে খাওয়া যাবে না।
অল্প চুমুকে আস্তে আস্তে খেতে হবে। অল্প চুমুকে পানি খাওয়ার ফলে গ্যাসের উৎস নষ্ট হয়, ফলে মাথাব্যথা হয় না। এ ছাড়াও সারাদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। নিয়মিত পানি পানের ফলে বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
২. দুপুরে খাবার খেতে দেরি হলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে একটি রসালো ফল খেতে পারেন।
বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে বিভিন্ন রোগের জন্ম হয়। তাই হাতের কাছে ফল থাকলে সেটি খেয়ে নিলে সেসব রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করা যাবে। কলা, আতা, সফেদার মতো ফলগুলো পেটের অম্বল দূর করে এবং হজমে সাহায্য করে। হাতের কাছে ফল না থাকলে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. শেষ পাতে একটু ঘি বা গুড় দিয়ে শেষ করলে অ্যাসিডিটি বা মাথা ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও অ্যাসিডিটি কমানোর জন্য শশা, তরমুজ জাতীয় খাবার উপকারী। অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।