(ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকাশিত ইংরেজি পাক্ষিক ‘বাংলাদেশ’ বুলেটিনের ১ জুন, ১৯৭৫ সংস্করণের ‘টাকা এক্সচেঞ্জ রেট চেঞ্জড’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে হুবহু অনূদিত। তখন বৈদেশিক লেনদেনে প্রধান মুদ্রা ছিল পাউন্ড স্টার্লিং। রিজার্ভও হিসাব করা হতো পাউন্ড স্টার্লিংয়ে।)
প্রতি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের বিনিময় হার ৩০ টাকায় স্থির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ১৭ মে থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকরের কথা। ঢাকায় গত ১৫ মে এ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের বিনিময় হার এখন প্রায় ১৮ টাকা ৯৭ পয়সা। পাউন্ডের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের পাশাপাশি আমদানিতে লাইসেন্স ফি এবং এক্সচেঞ্জ ট্যাক্স বা বিনিময় কর প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এছাড়া হোম রেমিট্যান্স স্কিম বাতিলেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা ১৬ মে থেকে কার্যকর হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার টাকার বিনিময় হার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং বিনিময় হচ্ছে প্রায় ১৮ টাকা ৯৭ পয়সায়। নতুন বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং পাওয়া যাবে ৩০ টাকায়। এ সিদ্ধান্ত ১৯৭৫ সালের ১৭ মে থেকে কার্যকর হবে।’