প্রসাধনী ব্যবহার করলেই ত্বকে সাময়িক জেল্লা আসে। কিন্তু ত্বক ভিতর থেকে জেল্লাদার করে তুলতে প্রসাধন সামগ্রীর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করলে চলে না। বরং ত্বকের দেখাশোনায় ঘরোয়া যত্নের প্রয়োজন। ঘরোয়া উপকরণ দিয়েও খেয়াল রাখা যায় ত্বকের। কিন্তু ত্বকের সমস্যা তো একটি নয়। ব্রণ থেকে র্যাশ, সমস্যা পিছু ছাড়ে না। সেই সঙ্গে কম বয়সেই সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক শিথিল হয়ে পড়ে অনেকের। শিথিল ত্বক টানটান করে তুলতে অনেকেই নানা কিছু ব্যবহার করেন। তাতে উপকার বিশেষ হয় না। বরং কয়েকটি ব্যায়াম যদি নিয়ম মাফিক করতে পারেন, তা হলে ত্বক হবে টানটান এবং জেল্লাদার।
ভুজঙ্গাসন
উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। পা সোজা করে রাখুন। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকুক শরীর ঘেঁষে। আগু-পিছু করে আরামদায়ক ভাবে নিজের অবস্থান ঠিক করে নিন। কপাল মাটিতে রেখে চোখ বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। হাতে ভর না দিয়েই মাথা এবং বুক উপরের দিকে তুলুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।
পশ্চিমোত্তাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দুটো হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে দুটো হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দুটো নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার দুই হাত প্রসারিত করে পেট মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। বুক যেন ঊরু স্পর্শ করে। মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। শ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এই আসনগুলি করলে উপকার পাবেন।