মেহেরপুরে সেবিকা (নার্স) নার্গিস খাতুনকে হত্যা ও মরদেহ গুমের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির আরও কয়েকটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামিদের একাধিক সাজা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের ফোরকান আলির ছেলে বাশারুল ইসলাম ও জামির হোসেনের ছেলে ফজর আলি। তারা দুজনই পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী নার্গিস খাতুন বামন্দি মাহী ক্লিনিকের সেবিকা হিসেবে চাকরি করতেন। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে বামন্দির আল ফালাহ ক্লিনিকে যোগ দেন। ওই দিন তিনি বাড়িতে ফিরতে দেরি হবে বলে তার মেয়ে তসলিমা খাতুনকে জানান, তিনি বামন্দির করবী ক্লিনিকের সামনে আছেন, তার বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকায় তার মেয়ে তসলিমা খাতুন গাংনী থানায় একটি জিডি করেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে তসলিামা একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ কুমার তদন্তকালে সাহেবনগর গ্রামের ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি বাশারুলকে গ্রেপ্তার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুদিন পর পুলিশ ইয়াকুব আলিকে এবং তারও চারদিন পর ফরজ আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাশারুল ও ফজর আলিকে আটক করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বাশারুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নার্গিসের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।