কর্মব্যস্ত জীবনে সময়ের পিছনে ছুটতে গিয়ে কিছু কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার মধ্যেই রয়েছে গল ব্লাডারে স্টোনের সমস্যাও। বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয় যে, পিত্তথলিতে পাথর জমেছে। কিন্তু আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। তা-ও জেনে রাখা জরুরি। যে হেতু পেটে ব্যথা হয় নানা কারণেই। তবে তারও আগে জানা দরকার অন্য একটি কথা।
কী কারণে গল ব্লাডারে পাথর জমতে পারে, কী ভাবেই বা এই রোগের ঝুঁকি এড়াবেন?
১) টানা অনেকটা সময় খালি পেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২) ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির উপর চাপ পড়ে। তার জেরেও অনেক সময়ে গল ব্লাডারে পাথর জমে।
৩) চল্লিশের পর এই রোগের আশঙ্কা বেশি। তাই চল্লিশের আশপাশের সময় থেকে জল খাওয়ার নিয়ম আরও কড়া হওয়া জরুরি।
৪) ডায়াবিটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে। কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি।
৫) বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হওয়া ভাল। পারিবারিক ভাবেও এ রোগ এক জনের থেকে আর এক জনের শরীরে যায়।
কোন উপসর্গগুলি জানান দেবে যে আপনি গল ব্লাডারে আক্রান্ত?
১) পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মশলাদার খাবার খেলেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও।
২) মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথা।
৩) গল ব্লাডারে পাথর জমার মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছয়। এ রকম হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
৪) প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হওয়া যায়। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব হলে বুঝবেন তা পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) গল ব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।