‘আমার ছবির ব্যাপার হচ্ছে সিম্বল অব এনার্জি। এই যে মাসলটা, এটা যুদ্ধের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, সয়েলের সঙ্গে যুদ্ধ। তার বাহুর শক্তিতে লাঙলটা মাটির নিচে যাচ্ছে, ফসল ফলাচ্ছে। শ্রমটা হলো বেসিস। আর আমাদের এই অঞ্চল হাজার বছর ধরে এই কৃষকের শ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অথচ সেই কৃষকদের হাজার বছর ধরে মারা হয়েছে।... আমি কৃষকের হাজার বছরের এনার্জিকে, ওদের ইনার স্ট্রেংথকে এক্সজারেট (বাড়িয়ে) করে দেখিয়েছি। কাজের ফিলিংসটাকে বড় করে দেখিয়েছি।’
সুলতানের চিত্রকলার বিষয়বস্তুতে গ্রামবাংলার সাধারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবী মানুষ, সদা কর্মোদ্দীপক, সংগ্রামী, তেজদীপ্ত ও সুগঠিত নর-নারীদেহ ও তাদের জীবন প্রণালি বিশেষত্ব আরোপ করেছে। তিনি বলেছিলেন, তাঁর ছবিতে মাইকেলেঞ্জেলো বা ভিঞ্চি অর্থাৎ পশ্চিমের প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর ছবির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ আলাদা, বিষয়বস্তু ও পরিবেশ আলাদা। সুলতানের নারীদেহ দেখে অজন্তা-ইলোরা অথবা কালীঘাটের পটের কথা মনে পড়লেও সেগুলো যে সুলতানের ‘মানুষ’– তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলার সাধারণ মানুষকে তিনি বিষয় হিসেবে বেছে নিলেও চিত্রশৈলীর বিচারে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়।