গত ৬ আগস্ট গণভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমন্ত্রিত হয়ে দলের জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ছাড়াও জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগ দেন। সংখ্যাটি প্রায় ৫ হাজার। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সভা চলে। সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী ও সমাপনী ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে কার কী করণীয় সে সম্পর্কে তার মতামত রাখেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রায় ৪৩ জন বক্তৃতা করেন। মূলত আগামী নির্বাচনকে উপলক্ষ করে। দলের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য জোরদার, বিভেদ অতিক্রম এবং নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ব্যাপারে আগত নেতাকর্মীদের অভিমত শোনা হয়। অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজকর্মের নানা চিত্র তুলে ধরেছেন। গণমাধ্যমে সব চিত্র যেমন আসেনি আবার বর্ধিত সভাতেও সবাই যার যার নির্বাচনী আসনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন এমনটি নাও হতে পারে। কেউ কেউ আবেগ-উচ্ছ¡াসে জেলার সব আসন নেত্রীকে উপহার দেয়ার মতো কথাও বলেছেন। আবার অনেকে নেতাকর্মী ও তৃণমূলের দ্ব›দ্ব ও দূরত্বের বিষয়গুলো তুলে এনেছেন বলে কিছু কিছু পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সেই সব দ্ব›দ্ব নিরসন না হলে আসনগুলো নিয়ে তাদের শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বর্তমান এমপিদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী মনোনয়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকে দলীয় সভাপতি যাকে মনোনয়ন দান করবেন, তার পক্ষে বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নেতাদের মধ্যে যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের বক্তব্যে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠলেও শেষ কথা ছিল নেত্রী যাকে মনোনয়ন দান করবেন, তারা তার পক্ষে কাজ করবেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরাখবর থেকে কিছু অঞ্চলের নেতাদের বক্তৃতায় উঠে আসা তথ্যগুলো এমনই ছিল।