যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নির্বাচনী ফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিচারক মক্সিলা এ উপাধ্যয়া সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্প যদি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেন বা বিচারকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন কিংবা সম্ভাব্য সাক্ষীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন তবে তাঁকে জেলে যেতে হতে পারে। রেওয়াজমতো ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’ না বলে ‘মিস্টার ট্রাম্প’ সম্বোধন করে বিচারক যে বিষয়ে জোর দিতে চেয়েছেন, সেটা হলো, তাঁকে আর দশজন অভিযুক্তের মতোই বিবেচনা করা হবে।
বিচারক এর পর ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেন, ‘আপনি আপাতত মুক্ত থাকার শর্তগুলো শুনলেন। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেগুলো মেনে চলা। আপনি যদি মুক্ত থাকার শর্ত লঙ্ঘন করেন তবে বিচারের মাঝেই আপনাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’ এর পর তিনি ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, ‘যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকতে হবে এবং সতর্ক না থাকলে পরিণতি কী হবে তা কি আপনি বুঝেছেন? আপনি কি সেগুলো মেনে চলতে প্রস্তুত’? ট্রাম্প জবাব দেন: ‘হ্যাঁ’।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্ট দেন, সেটি বিচারকদের প্রভাবিত করার মতো পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সাক্ষীর প্রতি প্রতিশোধপরায়ণতাও প্রকাশ পায়। তিনি লিখেছেন: ‘আপনি যদি আমার পেছনে লাগেন, তবে আমিও আপনাকে ধরতে আসছি।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের দপ্তরের আইনজীবীরা ট্রাম্পকে থামাতে কোর্টকে বিশেষ সুরক্ষা আদেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আদালত যাতে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করে না দেন, যে তথ্যটি বিচারের জন্য আইনজীবীদের জানানো হবে। যেমন, সাক্ষীদের নাম আগেই প্রকাশ না করা। তারা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এই সুরক্ষা ‘বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ছিল। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও সাক্ষী, বিচারক, অ্যাটর্নি বা সরকারি আইনজীবী এবং তাঁর বিচারের সঙ্গে যুক্তদের ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে লিখেছেন।
সামাজিক মাধ্যমের পোস্টের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা শনিবার আদালতে বলেন, এমন তথ্য প্রকাশ সাক্ষীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতে পারে। এতে তারা সাক্ষ্য দিতে অনুৎসাহিত হতে পারেন। আইনজীবীরা ট্রাম্পের হুমকিমূলক পোস্টের স্ক্রিনশটও আদালতে উপস্থাপন করেন।