সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় যেদিন একশবারের মতো পেছানো হলো, সেদিনই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। দুটিই ন্যায়বিচারের ইস্যু; কো-ইনসিডেন্স!
সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করা হবে এবং সাইবার নিরাপত্তার জন্য যে নতুন আইন করা হবে, সেই আইনে ওই ধারাগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধন হবে এবং বাকি ধারাগুলো বহাল থাকবে। কিছু নতুন ধারাও সংযোজন হবে। কিন্তু সেই নতুন সংযুক্ত ধারাগুলো কেমন হবে; সেই ধারাগুলোর রাজনৈতিক প্রয়োগ হবে কি না—তাও আলোচনায় আসবে।
স্মরণ করা যেতে পারে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্কের মুখে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছিল এবং ৫৭ ধারার বিধানগুলোকে আরও বিস্তৃত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তাতে করে আইসিটি আইনের চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ আরও বেশি হয়। অতএব সমালোচনার মুখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধন এবং নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পরে সাইবার দুনিয়ায় নাগরিকের সুরক্ষা কতটুকু নিশ্চিত হবে আর এখন যেভাবে কথিত মানহানির অভিযোগে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়—নতুন সাইবার আইনে তার পুনরাবৃত্তি হবে কি না বা ভিন্নমত দমনের জন্য নতুন কোনো কৌশল নেয়া হবে কি না, তা এখনই বলা মুশকিল।