জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে বিশ্ব যখন জীবাশ্ম থেকে সবুজ জ্বালানিতে ঝুঁকছে, সেই রূপান্তরে এখনও সেভাবে শামিল হতে পারেনি বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশে ২৮ হাজার মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও তাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির হিস্যা খুবই কম।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের গত বছরের সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, তখন দেশে সৌর, পানি, বায়ু, বায়োগ্যাস ও বায়োমাস মিলিয়ে মাত্র ৯১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল, যার মধ্যে বায়ু বিদ্যুতের পরিমাণ মাত্র ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট।
গত ২ অগাস্ট গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র (২০০ মেগাওয়াট) তিস্তা সোলার লিমিটেড উদ্বোধন করা হয়েছে। আর মাস দুয়েক ধরে কক্সবাজারের খুরুশকুল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। সবমিলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের সক্ষমতা ১০০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা হলে কেবল বায়ু বিদ্যুতই আরও বেশি উৎপাদন করা যেত। উপকূলীয় কিছু কিছু এলাকায় বাতাসের ‘সম্ভনাময়’ গতির প্রমাণ মিললেও তা এখনও কাজে লাগানো যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) জ্বালানি বিশ্লেষক শফিকুল আলম বলেন, “৫/৬ বছর আগেও ধারণা করা হত, বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা নাই। কিন্তু এনআরআইএল (যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি) যখন গবেষণা করল, তখন বোঝা গেল যে আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারব। ওখানে যথেষ্ট উইন্ড স্পিড আছে, পটেনশিয়াল আছে; ৫ দশমিক ৭ মিটার পার সেকেন্ড।”