কোনো ভূমিকা না করে সরাসরি দেখে নেওয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো কী—
১. নিজের বিছানা নিজেই তৈরি করুন
এ বিষয়টি নিয়ে সুন্দর একটি ইংরেজি প্রবাদ আছে। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, আপনি যদি বিশ্ব বদলাতে চান, তাহলে আগে নিজের বিছানা থেকে শুরু করুন। অর্থাৎ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজের বিছানা নিজেই তৈরি করুন। আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা গোছানোর ভেতর দিয়ে দিন শুরু করুন।
২. ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খান
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সবার আগে এক গ্লাস পানি খান। এটাকে বলা হয় ‘ইন্টারনাল শাওয়ার’। আমাদের শরীরের শতকরা ৬০ ভাগই পানি। সকালে এক গ্লাস পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শরীরকে তৈরি হওয়ার জন্য জানান দেন। শরীরের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম সারা দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা পায়।
৩. দুই মিনিট লাফান
ছোটবেলায় নিশ্চয়ই দড়িলাফ খেলেছেন? সেই দড়িটাই খুঁজে বের করুন। অথবা একটা কিনে নিন। ঘরের ভেতরে, বারান্দায় বা ছাদে স্টপওয়াচ ধরে দুই মিনিট দড়িলাফ দিন। এতে আপনার শরীর আর মন—দুইই ঘুম থেকে চমৎকারভাবে জেগে উঠবে।
৪. ‘হাওয়া খেয়ে’ আসুন
ভোরের আলো–হাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তা ছাড়া সকালবেলা আপনি যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিট হেঁটে বা দৌড়ে আসেন, তাতে উভয় কিডনি থেকে কর্টিসল নামক স্টেরয়েড হয়মোন নিঃসরণ হবে। রক্তসঞ্চালন থেকে শুরু করে সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি একটা হরমোন কর্টিসল।
৫. জীবনের লক্ষ্য কী, মনে আছে তো?
আমাদের ভেতর মাত্র ১৪ ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য নিয়ে আগায়, আর তাঁদের সফলতার হার অন্যদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। আর মাত্র তিন ভাগ মানুষ জীবনের লক্ষ্য লিখিত আকারে রাখেন। সেটাকে আবার সাপ্তাহিক, মাসিক, দৈনিক—এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে লিখিত আকারে রাখেন। প্রতিদিনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লক্ষ্য পূরণ করে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। এদের সফলতার হার শতকরা ওই ১৪ জনের চেয়েও তিন গুণ বেশি।
৬. ৫০ পৃষ্ঠা পড়ুন
এটা হতে পারে দৈনিক পত্রিকা, ধর্মগ্রন্থ, গল্পের বই, কারও জীবনী, জীবন দর্শন, ইতিহাস বা ভ্রমণকাহিনি। দৈনিক পড়ার অভ্যাস আপনার ‘মনোযোগ’ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। মনোযোগের বিঘ্ন না ঘটিয়ে একটানা ৩০ মিনিট যেকোনো কাজ করতে পারবেন।