টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে সড়কের আশপাশের দোকানপাট। নগরীর কোথাও কোমরপানি, কোথাও হাঁটুপানি। পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। অনেকের ঘরের চুলাও জ্বলছে না। পানি ঢুকেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায়। তার বাসার সামনের সড়কে কোমরপানি। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের।
অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পথে। তবে শেষ সময়ে এসে একটি প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ শেষের পথে থাকলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না। আগের মতোই অল্প বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে নগরী। ফলে প্রকল্পগুলোর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নগরবাসী।
তবে জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগের দায় নিতে রাজি নন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। এক পরিমাণ উন্নয়নকাজ করার পরও কেন জলাবদ্ধতা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে।’
চার প্রকল্পের কাজ শেষের দিকে
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চার প্রকল্পের মধ্যে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরায় খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক সিডিএর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী। ২০১৭ সালের আগস্টে প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। পরের বছর কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে; যা অনুমোদনের অপেক্ষায়।