প্রায় প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজারের ওপরে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ১০। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এমনটাই বলছে প্রচারমাধ্যম। এর সত্যতা পাওয়া যায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে। লাইন ধরে তীর্থের কাকের মতো ভর্তি হওয়ার প্রতীক্ষায় আছে ডেঙ্গু রোগী ও তার স্বজনেরা।
চিকিৎসাসেবা পাওয়ার এই ব্যাকুলতার রাজনৈতিক কোনো ফায়দা নেই, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রবল তৃষ্ণা আছে; জীবনব্যাপী মানুষের যা থাকে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উচ্চপদস্থ এক ব্যক্তি বেদনার সুরে বলছিলেন, তাঁর দুটি সন্তানই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। শরীরে নানাবিধ জটিলতা দেখা দিয়েছে। কদিন ধরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও তিনি তার সন্তান দুটিকে ভর্তি করতে পারছেন না। সিট পাচ্ছেন না। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁর বাসায় ব্যবস্থা নিলেও স্কুলের পরিবেশ ও পরিস্থিতি তো তাদের আয়ত্তে নেই। এমনকি শিক্ষার্থীরা যখন বাইরে বেরোচ্ছে, তখন তো আর তাদের এডিস মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা বা নিয়ন্ত্রণ অভিভাবকদের থাকছে না। কী করে সন্তানদের আমরা সুরক্ষিত রাখব?