রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারি স্থাপনাসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ ও জনসাধারণের নিরাপত্তাসহ সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতেই পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়। বলা ভালো, এই ক্ষমতা প্রদান করতে দেশের মানুষই বাধ্য করে। কারণ দেশের সমস্ত নাগরিকের রাজনৈতিক শিক্ষা, বোধ এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা এক নয়। না হওয়ার ফলেই সরকার বাধ্য হয়, উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে আইনি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসে দেশের মানুষকে একটি সভ্য আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কেন বাধ্য হচ্ছে এমন আইন করতে? আসলে এই বিভক্তিই প্রকটভাবে প্রমাণ করে, গণতান্ত্রিক সরকারের পুলিশের ক্ষেত্রে যে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে পুলিশ রয়েছে কিন্তু তাদের কোনো কাজ নেই। অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে আদালতে তেমন কোনো মামলা নেই। অপরাধীশূন্য জেলখানা রয়েছে অনেক দেশে। সেই দেশের জনগণকে শাসন বা আন্দোলন করতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া তো দূরের কথা, আন্দোলনের কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। কারণ মানুষের চাহিদা, নাগরিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সেই দেশের সরকার ভয়ংকরভাবে সচেতন। এই অভ্যাস একদিনে গড়ে ওঠেনি। তাদের শিক্ষাব্যবস্থাই এমন ছাঁচে তৈরি করা হয়েছে, সেখানে একজন নাগরিক খুব সহজেই রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো ধরনের আইন করতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে প্রয়োজন হচ্ছে, কেন? এই ‘কেন’-এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আসল কারণ।