যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জেক সুলিভানের সাম্প্রতিক জেদ্দা সফর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর সফরে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। যদিও এ বিষয় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে যে কেউ সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ আমলে নিয়ে ধারণা করতে পারেন, এমন চুক্তি হওয়া খুবই সম্ভব।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আগে আমি সেসব ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবিষ্কারকদের চুপ করাতে চাই, যারা এই উপসংহারে পৌঁছে যান– সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা বলবেন এর প্রমাণ হলো– যদি তা আদৌ ঘটে থাকে; উভয়ের সাক্ষাৎ হয়েছে গোপনে। আর গোপন বলেই কিছু একটা গড়বড় আছে এতে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, এ ধরনের কোনো আলোচনা গোপনে হলেও শুধু সফল হলেই প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়। আমি বলব, বিষয়টি নিয়ে ফিলিস্তিনিদের জিজ্ঞেস করুন অথবা ‘অসলো’ ছবিটি দেখুন।
দ্বিতীয়ত, সৌদি আরব এমন অল্প কিছু দেশের অন্যতম, যে দেশটি যা প্রচার করে তারই অনুশীলন করে। রিয়াদের অবস্থা তেহরানের মতো নয় যে, কোনো কিছু প্রচারের ভান করবে। বস্তুত ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলন থেকে সৌদি আরব অগ্রভাগে থেকে এমন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার সমুন্নত রেখে একটি চুক্তি সম্পন্ন করা যায় এবং এই লক্ষ্যে স্বীকৃতি ও শান্তির নিশ্চয়তা প্রদানে ইসরায়েলের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।