ডিবি অফিসে আপ্যায়নের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করায় সমস্যা দেখছেন না ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের কাজই তো এটা। এটা তো বিপ্লব বড়ুয়া বা এ আরফাতদের (মন্ত্রীর পাশে বসা ছিল) দিয়ে হয়নি। যা সত্য সেটা আসছে। উনি তো রুই মাছ দিয়ে খেলেন। উনি কেন খাইলেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিদেশিদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না, সুদান দুই ভাগ তিন ভাগ হয়ে যাচ্ছে, গতকালই নাইজারে একটা ক্যু হয়েছে, কাগজে একটা প্রতিবাদ ছাড়া কিছু করতে পারছে না। সবারই আয়নায় নিজের চেহারা দেখা উচিত।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বিদেশীদূত তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ বা সংসদ ভেঙে দেয়ার কথা বলেনি। তাদের দাবি একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাদের দাবি আমাদের দাবি এক। আমরাও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমাদের কারণে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ না হলে আমরা দায়ী থাকবো। অন্যদের কারণে যদি শান্তিপূর্ণ না হলে তারা দায়ী থাকবে।
গত শনিবার বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠি ও অস্ত্র হাতে থাকা কর্মী সমর্থকদের নিজ দলের নয় বলে দাবি করেন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, তারা বিএনপির নেতা-কর্মী। বিএনপি সেদিন যা করেছে, তা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার শামিল। এদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত ছিল। তারা কি করে আমরা দেখব।
তিনি বলেন, বিএনপি যে নৈরাজ্য করেছে, তা থামানোর দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ ব্যর্থ হলে আমাদের লোকজন তা প্রতিহত করতো। এজন্য তারা সেখানে ছিল।