অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তা একদমই টের পাননি তানিয়া নেওয়াজ। খানিক পেট ব্যথা আমলে নেননি শুরুতে, যতক্ষণ না তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। আসলে তার বেলায় ভ্রুণ গর্ভে নয়, বরং ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে উঠছিল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) জানাচ্ছে, সেখানে প্রতি ৯০ জন গর্ভবতীর মধ্যে একজনের বেলায় জরায়ুর বাইরে ভ্রুণ জন্ম নেয়। প্রতি বছর সেখানে প্রায় ১১ হাজার গর্ভবতীর বেলায় এমন হয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ১ থেকে ২ শতাংশ গর্ভধারণ জরায়ুর বাইরে হয়ে থাকে।
নারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এরকম গর্ভধারণকে চিকিৎসার ভাষায় বলে এক্টোপিক প্রেগনেন্সি। বাংলাদেশে কত নারীর ক্ষেত্রে এরকম হয়, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।
বিরল এই গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তানিয়া নেওয়াজের বেলাতেও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন সেই যন্ত্রণাময় অভিজ্ঞতার কথা।
২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার বিয়ে হয়। বয়স তখন একুশ পেরিয়েছে। পিরিয়ড ঠিক মতই হত, তাই অন্তঃস্বত্তা হয়েছেন বলে মনে করেননি।