আজ ৩১ জুলাই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যতিক্রমী প্রবীণ সাহিত্য সম্মেলন। বলা হয়ে থাকে, সাহিত্য সমাজের আয়না। সেই আয়নায় প্রবীণের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, সফলতা-ব্যর্থতা, সম্মান-অসম্মান কতখানি দেখা যায়, তা নিয়ে কথা বলার অবকাশ রয়েছে।
সমাজে একদিন মুখে মুখে রচিত গল্প, কবিতা, ছড়া, কবিগান, জারিসারি মানুষের বিনোদনের প্রধান উত্স হিসেবে বিবেচিত হতো। কলেরা, বসন্ত, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, প্লেগ, কালাজ্বরের মতো মহামারি, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃত্যু গড় আয়ু কমিয়ে রেখেছিল। ফলে মানুষ প্রবীণ হওয়ার সুযোগ তেমন একটা পেত না। যারা প্রবীণ হতেন, তারা সম্মান-মর্যাদা বেশি পেতেন। সমাজে প্রবীণ মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকায় সাহিত্যে তাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি আমাদের নজরে পড়ে না। সাহিত্যের প্রধান চরিত্রগুলোতে তরুণ-তরুণীদের প্রচণ্ড দাপট ছিল। সমাজ তখন অনেকখানি তরুণনির্ভর থাকায় তরুণ-তরুণীদের সুখ-দুঃখ, বিরহ-বেদনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিগুলো সাহিত্যের বড় অংশ দখল করে রেখেছিল।