দেশ থেকে অভিনব কৌশলে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি বহুল আলোচিত। ওভার ইনভয়েসিং (আমদানিতে মূল্য বেশি দেখানো) এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের (রপ্তানিতে মূল্য কম দেখানো) মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়টিও বারবার আলোচনায় আসে। ইএক্সপি (রপ্তানি অনুমতিপত্র) জালিয়াতির মাধ্যমেও বিদেশে অর্থ পাচার করা হতো।
চলতি বছরের মার্চে রপ্তানি অনুমতিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে চার প্রতিষ্ঠানের ৩৮৪ কোটি টাকা পাচারের তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। সম্প্রতি তারা প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাক রপ্তানির নামে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৪৭ কোটি টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য। পণ্যের মূল্য অবিশ্বাস্য কম দেখিয়ে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এ পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে।
রপ্তানি চালানসংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ইস্যু করা রপ্তানি অনুমতিপত্র ঠিক থাকলেও অতি নিম্নমূল্যে ৫ হাজার ৭৫৭ টন তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। পণ্য চালানগুলো রপ্তানির মাধ্যমে ১৪৭ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন কাস্টমস গোয়েন্দারা। জানা যায়, রপ্তানি অনুমতিপত্র ঠিক থাকলেও পণ্যের মূল্য অনেক কম দেখানো হয়েছে; কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্যের রপ্তানি মূল্যের ৮-১০ গুণ কমও দেখানো হয়েছে। এতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রকৃত মূল্য দেশে আসেনি। বস্তুত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অতীতেও দেশে থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমেও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হয়। সব তথ্য বিবেচনায় নিয়ে অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।