আনুষ্ঠানিকতার প্রতি চীনারা একটু বেশিই যত্নবান। তারই আদলে হেনরি কিসিঞ্জার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা ভিলা ৫-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। এটি সেই জায়গা, যেখানে কিসিঞ্জার ১৯৭১ সালে স্বয়ং প্রথমবারের মতো চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেবারের সাক্ষাতের উপলক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ১৯৭২ সালের চীন সফরের প্রস্তুতি।
এবারের মি. কিসিঞ্জারের বেইজিং সফরকাণ্ডটা ছিল ‘বেসরকারি’। চীন-আমেরিকা সম্পর্কের বাড়তে থাকা ফাটল মেরামতের এক ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা। এই দফায় তিনি আর মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন না।
এখানে একটা মোচড় আছে। ভূ-রাজনীতিতে জড়িতমাত্রই কিসিঞ্জারের বিখ্যাত সমীকরণটা জানেন: যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হওয়া বিপজ্জনক, আর বন্ধু হওয়া মারাত্মক। ইতিহাসে এর বিস্তর উদাহরণ মিলবে। জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে জার্মানি, ফ্রান্স ও হালের ইউক্রেন।
বেশ কয়েকজন চীনা পণ্ডিত একান্তে জানিয়েছেন, যুক্তি মানলে এবং ‘শতবর্ষী মার্কিন কূটনীতিকের প্রতি সম্মান জানিয়ে বললে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যেমন আছে তেমনটাই থাকা উচিত: বরফতুল্য। তাদের যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হওয়া ভয়ঙ্কর হলেও চীনের মতো সার্বভৌম সভ্যতার পক্ষে সেই ঝুঁকি সামলানো কঠিন নয়। তাই বেইজিংকে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু হিসেবে ‘মর্যাদাপূর্ণ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা’ বজায় রাখা উচিত।