চার বছর পর রংপুরে আসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে আশায় বুক বাঁধছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।
তিস্তাপাড়ের সাধারণ মানুষ এবং তিস্তা নিয়ে যারা আন্দোলন করে আসছেন, তাদের আশা প্রধানমন্ত্রী রংপুরের জনসভায় বহু আকাঙ্ক্ষিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সুখবর নিশ্চয়ই দেবেন। কারণ, পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় তিস্তা এখন উত্তরের মানুষের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর বন্যা এবং খরায় নদীপাড়ের মানুষের দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। তিস্তার দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করতে পারে একমাত্র মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তিস্তাপাড়ের মানুষের পানির জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।
পীরগাছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান বুলু জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী রংপুরের তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি আবারও রংপুরে আসছেন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী তিস্তা নদী নিয়ে সুখবর দেবেন এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবর পৌঁছে গেছে তিস্তার চরাঞ্চলেও। সাম্প্রতিক বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে থাকা পরিবারগুলো এতে আশায় বুক বেঁধেছে।