তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ঘুরেফিরে একটা কথা আজকাল প্রায়ই দেখা যায়। কথাটা এ রকম—আপনি চীনের কোনো অলিগলিতে ঘুরলে অনেক ইঞ্জিনিয়ারের দেখা পাবেন। জার্মানির অলিগলিতে ঘুরলে দেখা পাবেন বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের। আর বাংলাদেশের অলিগলিতে ঢুঁ মারলে দেখা পাবেন অসংখ্য সভাপতি-সেক্রেটারির। অবস্থাদৃষ্টে কথাটা সর্বাংশে সত্য বলেই মনে হয়।
এই সভাপতি-সেক্রেটারিরা রয়েছেন একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে। ওয়ার্ড, পাড়া, মহল্লা পর্যন্ত। শুধু তো সভাপতি-সেক্রেটারি থাকতে পারেন না। আছেন তাঁদের পারিষদবর্গও। অনেক পারিষদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া আছে সহ এবং উপপদাধিকারীও। ফলে আয়তনটা বেশ বড়ই। দেশের বড় দলগুলোর, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এ ধরনের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত সারা দেশে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, জামায়াত এবং আরও কয়েকটি ইসলামি দলেরও সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত আছে। তবে তা আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির মতো অতটা বিস্তৃত নয়।