মাঝেমধ্যে একটু চকলেটে কামড় বসাতেই পারেন। অপরাধবোধে ভোগার কোনো প্রয়োজনই নেই, সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে ওজনের সঙ্গে মিষ্টির সম্পর্ক আছে। আসলে বেশির ভাগ ডায়েট প্ল্যানে মিষ্টি বাতিলের তালিকায় থাকে।
এবার হঠাৎ করে যদি মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে দেন, তা হলে কিছুদিন পরেই দেখবেন ক্রেভিং হচ্ছে। কয়েকদিন তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, রোগাও হবেন। কিন্তু লং টার্মে ডেজার্ট থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা মুশকিল। আর একবার খেলেই দেখবেন সব সংযম ভেঙে যাবে। আর তখন পরিমিত পরিমাণের কথাটা মাথায় থাকবে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা হেলদি খাবারের সঙ্গে অল্প আধটু ডেজার্ট খান, তারা অনেক বেশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। আপনার ভালো লাগাটাও থাকে আবার এর সঙ্গে যদি আপনি ডায়েট আর এক্সরাসাইজ করতে পারেন, তা হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা কোনো সমস্যাই হবে না। ডেজার্টের আরেকটা ভালো দিক আছে।
আপনি চাইলেই ফ্রুটসবেজড ডেজার্ট খেতে পারেন। যাঁরা এমনি ফল খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা কিন্তু অ্যাপেল টার্টের স্বাদ থেকে নিজেদের চট করে বঞ্চিত করতে চাইবেন না। আর ফলের উপকারের কথা তো আপনারা জানেনই। টক দইয়ের সঙ্গে একটু র্যাসবেরি বা ব্লুবেরি মিশিয়ে নিলে ডেজার্ট খাওয়াও হবে আবার ফলের পুষ্টিগুণও পেয়ে যাবেন। ভ্যানিলা অ্যান্ড ম্যাঙ্গো স্মুদি বা চকলেটে ডোবানো স্ট্রবেরিও কিন্তু ফল খাওয়ার ভালো উপায়। তা হলে বুঝলেন তো ডেজার্ট খাওয়া অতটাও ক্ষতিকর নয়।