বাংলা ভাষার প্রবাদ বাক্যগুলো অসাধারণ। জীবনের অভিজ্ঞতার নির্যাস যেন প্রকাশিত হয় একেকটি প্রবাদবাক্যে। যেমন মোটে মায়ে রান্ধে না, তপ্ত আর বাসি। অর্থাৎ মা তো ভাতই রান্ধে না, তার আবার গরম আর ঠাণ্ডা ভাত। কিংবা ভাতের হাঁড়ির একটা চাল টিপলেই বোঝা যায়, চাল সেদ্ধ হয়েছে কি না? সম্প্রতি জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন দেখে এই প্রবাদটি মনে পড়লে অসংগতিপূর্ণ বলে মনে হবে না। বিগত সাধারণ নির্বাচনগুলোর যে চেহারা দাঁড়িয়েছে তার আবার উপনির্বাচন। আর একটি নির্বাচন দেখে ভবিষ্যৎ নির্বাচন সম্পর্কেও আঁচ করা যায়। কেমন দাঁড়াতে পারে তার চেহারা আর নির্বাচন নিয়ে শাসক দলের পরিকল্পনা এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন হতে পারে তার মহড়া কি দেখা গেল এই উপনির্বাচনে? নাকি মানুষ বলবে, জাতীয় নির্বাচন নিয়েই সন্দেহ, তার আবার উপনির্বাচন?
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে অনুষ্ঠিত হলো এই উপনির্বাচন। ইভিএম না ব্যালট এই বিতর্ক আপাতত স্থগিত। ফলে এই উপনির্বাচনে ভোট হয়েছে কাগজের ব্যালটে। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন। একদিকে প্রবল ধনী, অন্যদিকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ভোট, হাঁসফাঁস করা মধ্যবিত্ত, জীবনের চাপে চ্যাপ্টা হওয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত আর বস্তিবাসী বিপুল ভোটার এই মিলে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এই আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্র আর ৬০৫টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছিল ভোট গ্রহণ করার জন্য।