তাঁর নাম আশরাফুল আলম। সবাই তাঁকে হিরো আলম বলেই চেনে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুচির দুর্ভিক্ষের দৃষ্টান্ত হিসেবে হিরো আলমকে চিহ্নিত করে মহাবিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। মানবমর্যাদা নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখেননি। বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। সংগীত নিজের মতো করে পরিবেশন করায় তাঁকে ডিবি অফিসে গিয়েও মুচলেকা দিতে হয়েছিল।
সমাজে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির কাছেই তিনি নিন্দিত হয়েছেন। সেই হিরো আলম এখন অন্য রকম আলোচনায় উজ্জ্বল এবং তা দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে! তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাঁর সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। দেশের সীমা ছাড়িয়ে হিরো আলম এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বাহ! কারণ তো আছেই এমনটি ঘটার। যা অনেকে করতে পারে না, তা কিন্তু একজন হিরো আলম করে দেখান। তিনি অনেকের মতো শিক্ষিত ও গুছিয়ে কথা না বলতে পারলেও যে স্বপ্ন দেখেন, তা কিন্তু শেষ অবধি ঘটিয়ে ছাড়েন এবং তা যথেষ্ট সাহসিকতায়।