ডেঙ্গুর অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এবার ডেঙ্গু জ্বরে হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে রক্তচাপ, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, রোগী অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে, যা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নামে পরিচিত। ডেঙ্গু হওয়ার পর বাড়িতে চিকিৎসা নিলে রোগীর দিকে একটু বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। জ্বরের সময় বেশির ভাগ মানুষেরই খাবারে অরুচি থাকে এবং এ সময় বিপাক বৃদ্ধির কারণে ক্যালরি ও পুষ্টির চাহিদাও বেড়ে যায়। রোগীর বিপাকের হার, শরীরের তাপমাত্রা, হজমশক্তি ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে পথ্য নির্বাচন করতে হবে।
তরল খাবার
পানি শরীরের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে যখন আপনি ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠছেন। পানিসহ অন্যান্য তরল মিলে সারা দিনে ৩ লিটার তরল নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য তরল যেমন তাজা ফলের শরবত (অবশ্যই বাসায় তৈরি), মুরগি বা সবজির স্যুপ দেওয়া যেতে পারে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা অন্তর, যা পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করবে।
নরম পথ্য
তরল খাবারের ক্যালরি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কম পাওয়া যায়। তাই তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে নরম খাবারও দিতে হবে, যা সহজে হজম হয়। যেমন জাউ ভাত, সুজি, সাগু, নরম কাঁটা ছাড়া মাছ। অরুচির জন্য রোগী বেশি খাবার খেতে পারে না। তাই এমনভাবে খাবার নির্বাচন করতে হবে, যা অল্প খেলেও ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে পারে অর্থাৎ অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন নরম পাতলা মুগ ডালের খিচুড়ি, পুডিং, ফিরনি, পায়েস, দই, মিষ্টি দই, মিল্কশেক।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্রোটিনের চাহিদা বেড়ে যায়। শরীরের ক্ষয় পূরণ ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি, চর্বিহীন লাল মাংসে প্রোটিন আছে।