দেশে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির ২৯টি খাতে প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা লোপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন খাতের অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- বিল-ভাউচার ছাড়া ব্যয়, যন্ত্রপাতি না কিনলেও ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধ, পিপিআর বিধিমালা লঙ্ঘন করে অনিয়মিত ব্যয়, নির্মাণ ও মেরামতে অনিয়মিত ব্যয় ইত্যাদি।
বিএসএমএমইউর এ আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক চলতি বছরের জুনে সংস্থার সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে দুদক বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছে গত ২৬ জুন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর জবাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, বিএসএমএমইউয়ের চিকিৎসাসেবা জনকল্যাণমূলক হিসেবে বিবেচিত। তবে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রোগীদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার বিষয়টি আমলে না নিয়ে বাড়ানো হয় হাসপাতালটির অপারেশন ও চিকিৎসাসেবার ফি। এভাবে রোগীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বাড়তি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।