যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের উচ্চপর্যায়ের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে চীনের মন্তব্যের মিল রয়েছে। খুব সম্প্রতি রাশিয়াও এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছিল। এ স্বীকৃতিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং, ভূরাজনৈতিকভাবে যদি চিন্তা করি তাহলে বলা যায় এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এসেছে।
দ্বিতীয়ত এ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার যে আশ্বাস পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছে তা হলো– আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। বাংলাদেশ সরকার যে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে তাদের এই প্রতিশ্রুতি প্রতিনিধি দল ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। কেউ যখন প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে মনে করা হয়। সুতরাং, এই প্রতিশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সরকার ও বিরোধী দল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেবে তা যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এটি তারা আগেও বলেছে। অতএব, এটি বলা ঠিক হবে না যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নীতিতে কোনো মৌলিক পরিবর্তন এসেছে।