অনেকেরই শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি থাকার পরেও প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করেন। কোনও কাজে মন বসে না। সবসময় মেজাজ খিটখিটে থাকে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
চিকিৎসকদের মতে,শরীর ক্লান্ত থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে না ঘুমানো। আবার অনেকের ক্ষেত্রে শরীরে পুষ্টির অভাবে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। খাবেন। যদি পারেন বারবার লেবুর পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাছাড়াও কাঁচা আম, পুদিনা, খেজুর ইত্যাদি দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। আদা এবং পুদিনা মিশিয়ে বাটার মিল্ক খেলে আপনার শরীরের শক্তি যোগাবে। আপনার শরীরে ক্লান্তভাব কেটে যাবে । শরীর দুর্বল থাকবে না, রাত্রে ঘুমও কিন্তু ভালো হবে। তাছাড়াও আরও কিছু খাবার আছে যেগুলো ক্লান্তভাব কাটাতে সাহায্য করে। যেমন-
কলা: কলাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ থাকে। এটি খেলে শরীরে শক্তি যোগাবে। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটের রয়েছে , তাই এটি বিপাক এবং হজম করাতেও সক্ষম। এটি আপনার শরীরের শক্তি যোগাবে। সেই সঙ্গে আপনার ক্লান্ত শরীর চাঙ্গা হবে।
দই: দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে, যা আপনার অন্ত্রকে ভালো রাখে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দই খেলে শরীরে শক্তি বাড়বে। তবে দই যখন খাবেন অবশ্যই চিনি ছাড়া খাবেন অর্থাৎ যদি রোজ এক বাটি করে টক দই খান তাহলে আপনার চুল ও ত্বক খুব ভালো থাকবে।
চিয়া বীজ: চিয়া বীজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারযুক্ত চিয়া বীজ খেলে শরীরে শক্তি বাড়বে। শরীরের দুর্বলতা কাটবে। ক্লান্তি ভাব কেটে যাবে। আপনার শরীর বেশ ভালো থাকবে, সেই সঙ্গে থাকবে সতেজও।
ওটস: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ওটস রাখুন। ওটস এমন একটি শস্য যাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকে। ওটস খেলে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে। এ কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। সেইসঙ্গে ওটস খেলে ক্লান্ত ভাব কমে যাবে, রাতেও ভালো ঘুম হবে।