এই বর্ষায় চলনবিলে

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৫

একেক ঋতুতে তার সৌন্দর্যে যোগ হয় একেক রং। শীতে যেমন ঘন সবুজ আর হলুদ, বর্ষায় তেমনি রুপালি। গ্রীষ্ম আর শীতে ফসলের সমারোহ দেখে বোঝার উপায় নেই, বর্ষায় ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে। ঈশান কোণে মেঘ দেখা দিলেই শুরু হয় মাঝিদের সতর্কতা। এর নাম চলনবিল। বইয়ে পড়া হয়েছে বটে, মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের বিরাট জায়গা এটি। কিন্তু এর যে একই অঙ্গে অনেক শোভা, সে কথা লেখা নেই তেমন কোথাও।


টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো কদর এখনো পায়নি চলনবিল। তাই বলে কোনো অংশে তার রূপের খামতি নেই। বর্ষাকালে সেই রূপের পসরা সাজিয়ে পর্যটকদের ডাকছে চলনবিল। দেশের বৃহত্তম বিল এটি। নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার অনেক ছোট বিল আর ৪৭টি নদী নিয়ে চলনবিল। বর্ষায় পানির প্রবাহ বেড়ে ছোট ছোট বিল ও নদীগুলো একসঙ্গে সুবিশাল বিলের রূপ নেয়। তিন জেলা হলেও চলনবিলের বড় অংশ রয়েছে নাটোর জেলার সিংড়া ও গুরুদাসপুর উপজেলাজুড়ে।


চলনবিলের দর্শনীয় জায়গাগুলো মূলত বর্ষাকালেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা, বইঠার নৌকা, পালতোলা নৌকায় ঘুরে দেখা যায় বিলের বিভিন্ন অংশ। এর অন্যতম দর্শনীয় জায়গা হজরত ঘাসী দেওয়ান (রহ.)-এর মাজার, যা দেশব্যাপী পরিচিত তিশিখালীর মাজার নামে। বর্ষায় যখন চারদিকে পানি থইথই করে, তখন দ্বীপের মতো জেগে থাকে এই মাজারটি। এর চারদিকে সারি সারি নৌকা বাঁধা থাকে। জনশ্রুতি আছে, আনুমানিক ৩৫০ বছর আগে সিংড়ার ডাহিয়া এলাকায় ইসলাম প্রচার করতে আসেন হজরত ঘাসী দেওয়ান। জনাকীর্ণ প্রান্তর তিশিখালীতে চাটাই দিয়ে তৈরি ছোট্ট ঘরে বাস করতেন তিনি। পরে সেই জায়গায় তৈরি হয় মাজার। বর্ষার দিনগুলোতে, বিশেষ করে শুক্রবারে এই মাজারকে কেন্দ্র করে বসে তিশিখালীর মেলা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us