খালিজ টাইমসের সূত্রে গত ৪ জুলাই বাংলাদেশের একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, থাইল্যান্ডে এক নারীর মৃত্যুর পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নেওয়ার পথে হঠাৎ করেই জেগে উঠেছেন এবং বেঁচে গেছেন। এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না বলেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সেটি খবর তৈরি করেছে। এ খবরটির সঙ্গে বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতির একটা প্রতীকী মিল আছে। কারণ গত প্রায় ১০ বছর জামায়াতের প্রধান কার্যালয়ে তালা এবং তাদের কোনো রা না থাকায় অনেকের মনে হয়েছে বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতির মৃত্যু ঘটেছে। এখন শুধু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া বাকি। অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু হাসপাতালের পোস্টমর্টেম শাখা থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য লাশটি ছাড়া হচ্ছে না। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন আগে রাজধানীর একটা হলের ভিতরে বড় এক সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াতের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন তারা মরেননি। এমন আকস্মিকতায় সংগত কারণেই অনেকে ভাবছেন কী করে কী হলো। বাংলাদেশ ও জামায়াতের রাজনীতির মধ্যে তেল আর জলের মতো সম্পর্ক, একটার সঙ্গে অন্যটি যায় না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিগত সময়ে জামায়াতের রাজনীতি শুধু বেঁচে থাকা নয়, তারা বিএনপির কাঁধে ওঠে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে, দেশকে তছনছ করেছে এবং ঔদ্ধত্য দেহ ভঙ্গিতে বলেছে, এ দেশে কোনো দিন কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।