বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আগেও ছিল; তবে এমন ঘনীভূত আস্থার সংকট বোধকরি কখনোই ছিল না। আস্থাহীনতার বিপরীত মেরু থেকে ঐকমত্যে পৌঁছা বা সমান্তরালে এগিয়ে যাওয়ার পথ যেন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এ জন্য ‘পারস্পরিক দোষারোপ, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও ক্ষমতার মোহ’ দায়ী। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা খুঁজে বের করা ও প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ কিন্তু ‘একমাত্র আমিই সঠিক’ এ দৃষ্টিভঙ্গি সংকট জিইয়ে রাখে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাগত। সর্বস্তরের মানুষ আশা করে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ হোক। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সেটা অসম্ভব। রাজনীতিতে পরস্পরের প্রতি যে আস্থাহীনতা; সেখানে একসঙ্গে বসা ও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ খুঁজে বের করার অবস্থা নেই।
কেন আস্থাহীনতা : বিরোধী দলের দৃষ্টিভঙ্গি মোটাদাগে হলো-নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটার সুযোগ নেই বা ক্ষমতাসীন দল নির্বাচন প্রভাবিত করবে। সরকারি দলের দৃষ্টিভঙ্গি মোটাদাগে-বিরোধী দল পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ২০০১ সালের মতো নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।