প্রতিরোধে কার্যকর গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশের ৬০ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবার জটিল হচ্ছে। মানুষ একই সঙ্গে ডেঙ্গুর একাধিক ধরনেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি হওয়ায় এবার ডেঙ্গুতে বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর গত দুই দশকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বছরের জুলাই মাসের শেষে বা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর জুলাই মাসের শুরু থেকেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওই বছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৩৮। আর গতকাল রোববার (৯ জুলাই) এক দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৬ জন। এই সংখ্যা এক দিনে হাসপাতালে ভর্তির দিক থেকে (চলতি বছরে) সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার সকাল আটটা থেকে গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকেও সর্বোচ্চ। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হলো ৭৩। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে ৬০ জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত যে চারটি জেলা ডেঙ্গুমুক্ত তা হচ্ছে গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।