দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ঘাটতি প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। দেশটিতে বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহার এবং এর পেছনে একটি ফ্যাক্টর কাজ করাকে এই সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিশু চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালগুলো এই পদে নিয়োগের কোটা পূরণ করতে পারছে না, ফলে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থিংক ট্যাংক সিউল ইনস্টিটিউট এর তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে পেডিয়াট্রিক ক্লিনিক এবং হাসপাতালের সংখ্যা ১২.৫ শতাংশ কমে মাত্র ৪৫৬টিতে নেমে এসেছে। একই সময়ের মধ্যে সাইকিয়াট্রি ক্লিনিকের সংখ্যা বেড়েছে ৭৬.৮ শতাংশ এবং অ্যানেস্থেসিওলজি সেন্টারের সংখ্যা বেড়েছে ৪১.২ শতাংশ।
সাতজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ রয়টার্সকে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ঘাটতি দেখা যাওয়ার সমস্যার মূলে রয়েছে দেশটিতে জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়া। ২০২২ সালে দেশটিতে শিশু জন্মহার ছিল ০.৭৮ শতাংশ। মাথাপিছু নারীদের সন্তান জন্মদানের গড় হার ধরা হয়েছিল এটিকে- কিন্তু সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বীমা ব্যবস্থার ব্যর্থতা; ফলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত সম্পদ-সংস্থানের অভাবে ভোগেন এবং চিকিৎসকরা মনে করেন এই খাতের কোনো ভবিষ্যত নেই।