‘চিরুনি অভিযান’ শুনলেই মনে হয়, যেন কোনো দাগি সন্ত্রাসীকে ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। জনমানসে শব্দগুলো এভাবেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি মশকনিধনে ‘চিরুনি অভিযান’ কথাটি বেশিই ব্যবহার করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু এসব অভিযানের ফল যে অনেকটা শূন্য, তা বোঝা যায় ডেঙ্গুর মৌসুম এলে।
এ বছর বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়েছে কেবল, অথচ এখনই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬১ জন। সামনের দিনগুলোয় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে চিরুনি অভিযান চলে এলেও রাজধানীতে মশার উৎপাত কমছে না। এর কারণ হিসেবে সিটি করপোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন। অন্যদিকে কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে। তাঁরা বলছেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশন যে ওষুধ প্রয়োগ করছে, তা প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে মশা। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের কর্মীরা লার্ভা ধ্বংসের চেয়ে ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানোর কাজটাই বেশি করেন। এতে এডিস মশার প্রজনন যেমন থেমে নেই, তেমনি ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটানোর সময় প্রকট শব্দে বড় মশা আগেই উড়ে যায়।