ভোট বন্ধে ইসি তথা নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস এবং ঋণ ও বিল খেলাপিদের সুযোগ বৃদ্ধি করিয়া জাতীয় সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) যেই সংশোধনী পাস হইয়াছে, উহাতে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়াছে সামান্যই। ইহা সত্য, সংশোধনীর পূর্বে আদেশটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটের ফল ঘোষণার পর হইতে কমিশনের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত ফল ঘোষণা করা যাইবে কিনা– উহা লইয়া অস্পষ্টতা ছিল। সংশোধিত আদেশে উহার সুরাহা করিয়া বলা হইয়াছে, ইসি যেই কোনো পর্যায়েই ভোট গ্রহণ কিংবা নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করিতে পারিবে। পূর্বে ইসি যেই কোনো সময়েই নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করিতে পারিত। এখন বলা হইয়াছে, এই ‘ক্ষমতা’ শুধু ভোট গ্রহণের দিন প্রযোজ্য হইবে। ইহা ব্যতীত, কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হইলে শুধু সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ‘স্থগিত’ করিতে পারিবে। ইহার পর ‘তদন্তসাপেক্ষে’ অনিয়ম প্রমাণ হইলে তবেই ঐ সকল কেন্দ্রে নূতন করিয়া ভোট গ্রহণ করিতে পারিবে ইসি। সকল কিছু মিলাইয়া, সংশোধনীতে নাকের বদলে নরুন মিলিল কিনা, ভাবিয়া দেখিবার বিষয়।