শিরোনামের কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি এক দলীয় সভায় বর্তমান সরকারের অধীনে বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “যেসব দেশ আমাদের নির্বাচনের দিকে শ্যেনদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তাদেরও বলব, আমাদের যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা আমাদের যে উপনির্বাচনগুলো হলো, সেই নির্বাচনগুলো দেখেন, কীভাবে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। এরপর আবার কেন প্রশ্ন ওঠে?”
শেখ হাসিনা বলেন, “বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। কক্সবাজার মেয়র নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন...এই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা, কোনো অভিযোগ করতে পারবে না। আজ যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের বলব, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয়, নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা যে আমরা করতে পারি, সেটা কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি। কাজেই এটা নিয়ে আর কারো কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।”
শেখ হাসিনা বলেছেন, “আওয়ামী লীগের ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগ এমনি ভোট পায়। যখনই মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।”
গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২২ জুন, ২০২৩।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপরের কথাগুলো অসত্য নয়, আবার পুরোপুরি হয়তো সত্যও নয়। এটা ঠিক, সামরিক শাসক জিয়া, এরশাদ ভোট নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছিল, তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অন্য মিত্রদের নিয়ে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই স্লোগান নিয়ে আন্দোলনে শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটাও ঠিক যে, জিয়াউর রহমান ও এইচ এম এরশাদ যেভাবে ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করেছিলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সেভাবে বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসেনি।