শিং নেই, তবু নাম তার সিংহ। শিং নেই, তবু নাম তার শিঙাড়া। জীবজগতে সিংহকে সমীহ করে সবাই। বনের রাজা বলে ডাকে। জিবজগতে ততটা কদর না হলেও অনেকেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে শিঙাড়া। আবার অনেকে শিঙাড়া পছন্দই করেন না। শিঙাড়ার বিরুদ্ধে যাঁদের অবস্থান শক্ত, তাঁদেরও ভক্ত বানিয়ে দিতে পারে শিঙাড়া হাউসের শিঙাড়া।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা, মুক্তাগাছার মণ্ডা, বগুড়ার দই কিংবা কুমিল্লার রসমালাইয়ের মতো বিখ্যাত কোনো মিষ্টান্নের জন্ম দিতে পারেনি রংপুর। তবে উত্তরবঙ্গের ছিমছাম শহরটায় বেড়াতে গেলে একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন শিঙাড়া হাউসে। চোখে এবং চেখে দেখতে পারেন এর শিঙাড়া। চক্ষু-কর্ণ-জিহ্বার বিবাদভঞ্জন তো হবে।
৬৩ বছর ধরে শিঙাড়া বানিয়ে চলেছে এই রেস্তোরাঁ। এত দিন ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, কোনো একটা ম্যাজিক নিশ্চয়ই আছে।
অবশ্য এই পর্যন্ত পড়ে শিঙাড়া হাউসটিকে কল্পনায় আপনি যেভাবে দেখছেন, আদতে এই রেস্তোরাঁ জাঁকালো নয় মোটেও। বরং কিছুটা জীর্ণশীর্ণ। আয়তনেও ছোট। ভেতরে-বাইরে ছোট আকারের টেবিল-চেয়ার পাতা। গিয়ে যদি দেখেন বড্ড ভিড়ভাট্টা, অবাক হবেন না। শিঙাড়া হাউসে ভিড় লেগেই থাকে। একটু হয়তো অপেক্ষা করতে হতে পারে আপনাকে।
কপাল ভালো হলে যাওয়ামাত্রই আসন পেয়ে যেতে পারেন। আপনাকে কিছু বলতে হবে না, অর্ডার করার আগেই স্টিলের ছোট প্লেটে হাজির হয়ে যাবে শিঙাড়া। প্রথমেই নজর কাড়বে এর আকার। সাইজে শিঙাড়াগুলো বেশ ছোট। আরেকটা ব্যতিক্রমও চোখে পড়তে পারে—সস। শিঙাড়ার সঙ্গে সস আপনি আগেও হয়তো খেয়েছেন। তবে গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়, শিঙাড়া হাউস আপনাকে যে সস দেবে, এই সস আপনি চেখে দেখেননি।