প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফর ভারতের সংবাদমাধ্যম ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। এই প্রচারণা অনেকাংশেই যথার্থ এই কারণে যে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় সফর। আমেরিকার হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদি যে সম্মান পেয়েছেন; পৃথিবীর অল্প কয়েকজন নেতা তেমনটা পেয়েছেন। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান ড. মনমোহন সিং; তিনিও এমন সম্মান পেয়েছিলেন।
নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিষয়ে কিছু প্রচার ছিল বিব্রতকর। এর অন্যতম হলো, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ভারতীয় কিছু নাগরিকের ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় নাচের দৃশ্য। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সমর্থনে এই জাতীয় র্যালির আয়োজন করেন। তবে মোদির এই সফরটি দেখতে হবে একটু অন্যভাবে। একদিকে যেমন প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে একে সংবাদমাধ্যমে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা যাবে না। অন্যদিকে নরন্দ্রে মোদি যা-ই করবেন, সবই ভুল– এমন মানসিকতার বশবর্তী হয়েও প্রচার করা যাবে না।
বাস্তবতা হলো, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। এই সফরের মাধ্যমে এমন সময়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে, যখন নয়াদিল্লি একবারে স্বাধীন বিদেশনীতির চর্চা করছে। এমনকি কিছু নীতি পশ্চিমাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরির পরও তা অব্যাহত আছে। যার অন্যতম হলো, ভারসাম্যপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান। ভারত এমন সময়ে রাশিয়া থেকে তার তেল আমদানি বৃদ্ধি করেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র তা করতে ভারতকে ‘না’ করেছে।