বাজেট রাষ্ট্রের সরকারের নয়

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫

মহামারীর অভিঘাত এবং পূর্ব ইউরোপীয় যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় একটি উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে তা কী ধরনের কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে উতরানো যাবে, তার একটা পথনকশা, পদক্ষেপের পদাবলি বাজেটে প্রত্যাশিত থেকেই যাচ্ছে, যাবে। গত বছর যে বাজেটটি পাস হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পরিসংখ্যানের প্রতি প্রশ্ন-আগ্রহ ইদানীং বড় একটা দেখা যায় না। সবাই দেখতে চায় নতুন বাজেট। বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতির প্রতি নজর থেকেও যেন নেই। অথচ বাস্তবায়নের মধ্যেই বাজেটীয় সাফল্য বা প্রভাব, প্রত্যাশার প্রকৃত প্রাপ্তি নির্ভর করে এবং এই অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন বাজেটে কৌশল পুনর্নির্ধারণের তাগিদ ওঠে আসে। বলা বাহুল্য, এটিই বাজেট নামক বস্তুটির প্রতি গণআকর্ষণ-আগ্রহ তথা প্রত্যাশা-প্রাপ্তি শুমারের বশংবদ সীমাবদ্ধতা- যদ্দরুণ বাজেটের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা মাঠে তো মারা যায়ই, শুধু মিডিয়া যেন সেই আগ্রহ-আকাক্সক্ষাকে কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। বাজেট নিয়ে যে ‘মিথ’ বাংলাদেশে তৈরি হয়ে এর তাৎপর্য দিন দিন দীন-হীন হয়ে পড়ছে তার কার্যকরণ বিশ্লেষণে গেলেও তা দেখা যায়।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম ভাগে, আইনসভা অধ্যায়ে, ২য় পরিচ্ছেদে ‘আইন প্রণয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি’ অনুযায়ী ৮১ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত ‘অর্থবিল’ই ব্যবহারিক অর্থে বাজেট। সংবিধানের কোথাও বাজেট শব্দের নাম-নিশানা নেই, অথচ লোকসমাজে বাজেট একটি বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত শব্দ। সংসদে সম্পূরক এবং নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশকালে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে যে ‘বাজেট বক্তৃতা’ দেওয়া হয় তা আইনত বাজেট নয়, সেটি পারতপক্ষে অর্থবিলের নির্বাহী সারাংশ, এবং এটিকে বড়জোর সরকারের ‘ভাবাবেগ মিশ্রিত রাজনৈতিক অর্থনীতির বার্ষিক বিবৃতি’, কখনো-সখনো নির্বাচনী ইশতেহারও বলা যায়। ‘অর্থবিল’-এর দর্শন, ফাঁকফোকরসহ সচরাচর লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়, রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে সংসদে উপস্থানীয় নথিতে অর্থবিলের অবস্থান ‘সংযোজনী’ হিসেবে। বাজেট প্রস্তাব পেশের পর ‘বাজেট আলোচনা’য় অর্থবিলের পর্যালোচনা ও প্রাসঙ্গিকতা খুব একটা দেখা যায় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us